স্টাফ রিপোর্টার।। মৌলভীবাজারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি এলাকায় একটি করে পাবলিক টয়লেট রয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় এ সংখ্যা একাধিক। কিন্তু এগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। এসব নোংরা টয়লেটকে ঘিরেই চলছে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য।সেখানে গেলেই দেখা যায় এমন চিত্র উঠে আসে নানান অনিয়মের কথা। টিক একি কায়দায় অবলম্বন করছে শহরের এস আর প্লাজা মার্কেটের কর্তৃপক্ষ এই মার্কেটের পাবলিক টয়লেট ছিল ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য ফ্রি কিন্ত সেখানে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা, এস আর প্লাজা মার্কেটের ১ম তলার পাবলিক টয়লেটটি একজন ক্রেতা ব্যবহার করে বাহিরে আসতেই টয়লেটের সামনে বসা একজন তরুণ টয়লেট ব্যবহারের ফি ১০টাকা দাবী করে বসলে মুহূর্তের মধ্যে টয়লেট ব্যবহারকারী ব্যক্তির সঙ্গে টয়লেট ফি দাবী কারী তরুণের প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
এদিকে এস আর প্লাজার সংখ্যাধিক মোবাইল বিক্রয়ের দোকান মালিকরা অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, এস আর প্লাজার পাবলিক টয়লেটটি মূলত ফ্রি’ই ছিল। কিন্তু ক্রেতা- বিক্রেতারা টয়লেটটি ব্যবহার করলেও কেউই পরিস্কার, পরিচ্ছনতার ব্যাপারে যত্নবান নয়।এছাড়া এস আর প্লাজার মালিক পক্ষ মার্কেট পরিস্কার, পরিচ্ছনতার ব্যাপারে সম্পূর্ণ অমনোযোগী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরো মার্কেটের পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে আমাদের দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে দুজন লোককে টয়লেট পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব দিয়েছি।
তবে আমরা স্বীকার করছি যে, টয়লেট ব্যবহার করে টাকা দিতে হবে এটি একদম সঠিক নয়, অনেকে এ কথাও যোগ করেন।
এস আর প্লাজার অনেক মোবাইল বিক্রয়ের দোকান মালিকরা জানান, প্রতিদিন ৫/১০ টাকা উনারাও দিচ্ছেন,যদিও এটি নির্দিষ্ট কারণবশত।
এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানাগেছে, মৌলভীবাজার জেলা শহরের বহু পাবলিক টয়লেট ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারা দেয়ার পর থেকেই জনসেবার বিষয়টি গেছে
হারিয়ে। সেবার নামে এসব টয়লেট গোডাউন হিসেবে ভাড়া, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি বিক্রি, গাড়ি ধোয়া, মাদক ব্যবসা, এমনকি রাতে থাকার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এসব ব্যবসার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বেশিরভাগ টয়লেটের ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও মামলায় স্থগিতাদেশের মাধ্যমে তা দখলে রাখা হয়েছে। এ সুযোগে একদিকে যেমন বছরের পর বছর সিটি করপোরেশনের কাঁধে বিল চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে টয়লেটগুলো ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন মৌলভীবাজার জেলা কয়েকটি পাবলিক টয়লেট ও মার্কেটের টয়লেট ঘুরে পাওয়া গেছে বিস্তর অভিযোগ। সেসব অভিযোগের অন্যতম হলো, ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী পায়খানার জন্য ৩ টাকা এবং প্রস্রাবের জন্য ২ টাকা করে আদায় করার কথা। কিন্তু আদায় করা হচ্ছে গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে ।